নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিতর্ক শামীম ওসমানের পিছু ছাড়ছে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে গেল কুতুবপুর ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুকে তিনি নৌকা প্রতীক দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। তার মদদে গোগনগরে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়। আলীরটেকে হেফাজত কর্মীকে নৌকার প্রার্থী করেন। এছাড়া মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয় রাজাকারপুত্র মো. মাকসুদ হোসেন। কলাগাছিয়ায় লাঙ্গলের প্রার্থী দেলোয়ার প্রধানের পক্ষে ভোট করেন তার সমর্থকরা। নৌকার প্রার্থী কাজিম প্রধান এগিয়ে থাকার পরও অলৌকিক কারণে হেরে যায় । তার কর্মীদের মারপিট করা হয়। দলীয় সুত্রের খবর এসব কর্মকান্ডের পর শামীম ওসমানকে পর্যবেক্ষণে রাখছে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া গেল ২০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের কেন্দ্রে ডাকা হলেও সেই সভায় অনুপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য শামীম ওসমান। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধের পরও সভায় উপস্থিত না থাকায় বিস্ময় ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রে। আওয়ামী লীগের ওই যৌথ সভায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। সভায় কে কে উপস্থিত হয়েছেন তা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেখেছেন। ওই সভায় নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের বিতর্কিত কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখছে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। সিটি নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম গণমাধ্যমকে জানান, নারায়ণগঞ্জের কোন নেতা কি করেন তা আমরা জানি। ইউপি নির্বাচনে বিতর্কিতরা নৌকা প্রতীক পাওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।